শ্রীকৃষ্ণকীর্তন- বড়ু চণ্ডীদাস
১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথির পৃষ্ঠা সংখ্যা ২২৭। ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের
বাসিন্দা দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
কাব্যের পুথি আবিষ্কার করেন।
২. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে ১৯১৬ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় এই পুথি। প্রথম সংস্করণের মুখবন্ধ রচনা করেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। পুথি এবং রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর মুখবন্ধ সর্বত্রই কাব্যের নাম ‘কৃষ্ণকীর্ত্তন’ ব্যবহৃত হয়েছে। পরে ‘শ্রী’ যুক্ত হয়। বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের জীবদ্দশায় (১৮৬৫-১৯৫২) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুথিটি ৪ বার মুদ্রিত হয়।
৩. পুথির পৃষ্ঠার মাপ: ৩৪.৫ সেমি দৈর্ঘ্য, ৭.৫ সেমি প্রস্থ। দু ভাঁজ করা তুলোট কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় লেখা।
৪. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথির আদ্যন্ত খণ্ডিত। প্রথম দিকের ২টি পত্র পাওয়া না যাওয়ায় পুথির নাম নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। পুথিটির সাথে একটি স্মারকলিপি পাওয়া যায় যেখানে ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’ নামটি ছিল। এই স্মারকপত্র থেকে মহম্মদ শহীদুল্লাহ্ অনুমান করেন পুথিটির আসল নাম ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। পরবর্তীকালে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. বিজন বিহারী ভট্টাচার্য, ড. অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ তাঁর এই মতকে সমর্থন করেন। নলিনীনাথ দাশগুপ্ত প্রথম শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের নাম পরিবর্তন করে ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’ রাখার প্রস্তাব দেন।
৫. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সর্বমোট সাড়ে ২২টি পত্র পাওয়া যায়নি।
৬. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে মোট তিনজন লিপিকরের হস্তাক্ষর পাওয়া গেছে।
৭. যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, দক্ষিণারঞ্জন ঘোষ, সুকুমার সেন পুথিটির প্রাচীনত্ব নিইয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
৯. সুখময় মুখোপাধ্যায়ের মতে বড়ু চণ্ডীদাস বিদ্যাপতির পরবর্তী। সম্ভবত পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে বড়ু চণ্ডীদাস বর্তমান ছিলেন। (‘প্রাচীন কবিদের পরিচয় ও সময়’)
১০. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ভাষার সাথে অসমীয়া ভাষার মিল আছে।
১১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ৩৯৯টি পদের ভণিতার মধ্যে বেশিরভাগই বড়ু চণ্ডীদাস ও বাসলীদেবীর নাম যুক্ত।
১২. জন্মখণ্ড: কংসের ধ্বংসের জন্য নারায়ণ লীলাবতার রূপ গ্রহণ করবেন ঠিক হল। নারদ
জানাল কংসকে যে বসুদেব ও দৈবকীর অষ্টম সন্তান কংসকে হত্যা করবে। এই খবর শুনে কংস
বসুদেব ও দৈবকীকে কারারুদ্ধ করল।
ভাদ্রমাসে বিজয় ক্ষণে জন্মাল কৃষ্ণ। রোহিণী নক্ষত্র, অষ্টমী তিথি। একই সময়ে
যশোদার গর্ভে এক কন্যার জন্ম হল। দৈব কৃপায় বসুদেব যশোদার সদ্যোজাত কন্যার সাথে
কৃষ্ণকে বদলে ফেলল। সদ্যোজাত শিশুর কান্না শুনে কংস কৃষ্ণ ভেবে যশোদার কন্যাকে
হত্যা করল শিলাপট্টে আছাড় মেরে। এই সময় দৈববাণী হল- ‘নান্দোঘরে বালা বাঢ়ে তোহ্মা
বধিবারে’। এরপর কংস কৃষ্ণকে হত্যা করতে পুতনা, যমল-অর্জুন, কেশিকে পাঠায়। কৃষ্ণ
তাদের হত্যা করে।
কৃষ্ণের সম্ভোগের জন্য সাগর গোপের ঘরে পদুমার গর্ভে রাধার জন্ম হয়। বয়স হওয়ার
পর নপুংসক আয়ান ঘোষের সাথে বিয়ে হয় রাধার। স্থির হয় গোপ ঘরের প্রথানুযায়ী রাধা
মথুরায় দুধ-দই বিক্রি করতে গেলে তাকে রক্ষা করবে বড়াই। বৃদ্ধা বড়াই রাধার মা
পদুমার পিসি অর্থাৎ রাধার দিদিমা।
১৩. তাম্বুলখণ্ড: সইদের সাথে রাধা ও বড়াই রোজ যায় মথুরায় পসরা নিয়ে। একদিন রাধা আর বড়াইয়ের বিচ্ছেদ ঘটে তখন বড়াই রাধাকে খুঁজতে খুঁজতে গোচারণরত কৃষ্ণের কাছে গিয়ে রাধার সৌন্দর্যের বিবরণ দিয়ে তার খোঁজ করে। রাধার সৌন্দর্যের বিবরণ শুনে কৃষ্ণ আকৃষ্ট হয় ও বড়াইকে অনুরোধ করে রাধার সাথে তার মিলনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার। কৃষ্ণ রাধার জন্য বড়াই মারফৎ ফুল(চম্পা ও নাগকেশর)-পান-তাম্বুল পাঠায়। এবং বড়াইকে জানায় রাধা আছে বকুলতলায়।
বড়াইয়ের আনা উপহার প্রত্যাখ্যান করে রাধা। একথা শুনে ক্রুদ্ধ হয় কৃষ্ণ।
সম্পর্কে রাধা কৃষ্ণের মাতুলানী। কৃষ্ণ বড়াইকে জানায় স্বপ্নে সে রাধার সাথে মিলিত
হয়েছে। এসব শুনে বড়াইকে ভর্ৎসনা করে রাধা। ক্রুদ্ধ কৃষ্ণ বড়াইকে জানায় দানী সেজে
মথুরা যাওয়ার পথে রাধার পসরা কেড়ে নেবে সে। রাধার ওপর পরিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি
হয় পসরা নিয়ে যাওয়ার। বড়াই রাধার শাশুড়ী জটিলাকে অনুরোধ করে, শাশুড়ী রাজি হয়
সখীদের সাথে রাধাকে মথুরায় পসরা নিয়ে যেতে।
১৪. বংশীখণ্ড: সখীদের নিয়ে রাধা যমুনায় স্নান করতে গেলে কৃষ্ণ নানারূপ নৃত্য করতে লাগল, যত রকম বাদ্যযন্ত্র আছে সব বাজাল, শেষে বাজাল মোহনবাঁশি। রাধা উৎসাহ না দেখিয়ে জল ভরে ফিরে এল। কৃষ্ণ বাঁশি বাজাতেই থাকল।
বাঁশির শব্দে চিত্ত চঞ্চল হতে শুরু করল রাধার। তার রান্নায় ভুল হয়ে গেল।
বড়াইকে অনুরোধ করল কৃষ্ণকে খুঁজে এনে দিতে। বড়াই রাধাকে বোঝাতে চেষ্টা করল পরপুরুষের
জন্য ব্যাকুল হওয়া তার শোভা পায় না। রাধা এই ভর্ৎসনাতেও দমল না। দেহমিলনের
আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে লাগল। সখীদের থেকে বিছিন্ন বিরহাতুর রাধা বড়াইকে বলল
বৃন্দাবনে পূর্বে যেখানে কৃষ্ণের সাথে তার মিলন হয়েছিল সেখানে নিয়ে যেতে। বড়াই
তাকে নানাভাবে থামানোর চেষ্টা করতে লাগল।
রাত্রে আয়ান ঘুমুচ্ছে এমন সময় গোবিন্দের বাঁশি শুনে চঞ্চল রাধা দ্বিতীয় প্রহরে
ঘর থেকে বাহির হল—কিন্তু কৃষ্ণের দেখা নেই। তৃতীয় প্রহরে কোকিল ডাকল। চতুর্থ
প্রহরে ভোরের আলোয় মূর্ছা গেল রাধা।
বড়াইয়ের কথা মত রাধা যমুনায় জল আনার ছল করে কৃষ্ণের বাঁশি চুরি করতে গেল। যমুনাতীরে
শুয়ে ছিল কৃষ্ণ। বড়াই তার নিন্দাউলী মন্ত্রে কৃষ্ণকে ঘুম পাড়াল। রাধা সেই সুযোগে কৃষ্ণের
মাথায় রাখা বাঁশি চুরি করে রেখে দিল তার কলসির মধ্যে। বাঁশি না পেয়ে বিহ্বল কৃষ্ণ
কাঁদতে লাগল।
বাঁশি চুরি নিয়ে রাধা-কৃষ্ণের মধ্যেকার বাক্-বিতণ্ডা ক্রমেই বাড়তে লাগল। শেষে
কৃষ্ণ যখন রাধাকে প্রতিশ্রুতি দিল যে সে আর রাধাকে দুঃখ দেবে না তখন রাধা বাঁশি
ফিরিয়ে দিল।
১৫. রাধাবিরহ: বহুদিন পর রাধা বড়াইকে কৃষ্ণ-বিরহের জানাল। রাধার মনে হতে লাগল পূর্বজন্মের ব্রত করার জন্য সে কৃষ্ণকে হারিয়েছে। সে বড়াইকে কৃষ্ণের খোঁজে যেতে বলল। বড়াই তার শারীরিক অক্ষমতার কথা জানাল। রাধার মনে হতে লাগল হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ানোর জন্যই হয়ত কৃষ্ণ তাকে ছেড়ে চলে গেছে এখন অন্য কোনও গোপিনীর সাথে মিলিত হচ্ছে। রাধা প্রসাধন করে বৃন্দাবনে গিয়েও কৃষ্ণের দেখা না পেয়ে আশাহত হল।
বিরহকাতর রাধা স্বপ্নে দেখল কৃষ্ণকে। কৃষ্ণ রাধার সঙ্গে মিলিত হল স্বপ্নে।
এরপর রাধার বিরহ আরও বাড়ল। পরদিন রাধাকে নিয়ে বড়াই গেল বৃন্দাবনে। সেখানে কৃষ্ণকে
গোপালনরত অবস্থায় দেখে মূর্ছিত হল রাধা। কৃষ্ণ চলে গেল।
কৃষ্ণ এখন যোগ অনুশীলন করে ফলে প্রাকৃত দেহ সম্ভোগে তার রুচি নেই। এরপর
বৃন্দাবনে কৃষ্ণকে খুঁজতে খুঁজতে রাধা আর বড়াই নারদের দেখা পেল। নারদ জানায় কৃষ্ণ
আছে কদমতলায়। শীর্ণা রাধা কৃষ্ণকে দেখে মূর্ছা গেল আবার। জ্ঞান ফিরে আবার কৃষ্ণকে
দেখতে পেল না। এইরূপ বিরহে অনেকদিন কাটল। বসন্তের পর গ্রীষ্ম-বর্ষা এল। আরও কিছু
মাস পর রাধা তার রতাঙ্গুরী অভিজ্ঞান হিসেবে দিয়ে বড়াইকে বলল কৃষ্ণকে খুঁজে আনতে। মথুরায়
গিয়ে কৃষ্ণকে রাধার কথা বলতে কৃষ্ণ ক্ষুব্ধ হল। কৃষ্ণ জানাল সে আর গোকুলে ফিরবে
না, সে মথুরা এসেছে কংসের বিনাশ করতে। এরপরের অংশ পাওয়া যায়নি।
১৬. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে পূর্ণাঙ্গ খণ্ড ১০টি। ১.জন্মখণ্ড, ২.তাম্বুলখণ্ড, ৩.দানখণ্ড, ৪.নৌকাখণ্ড, ৫.ভারখণ্ড, ৫.১ভারখণ্ডার্গত ছত্রখণ্ড, ৬.বৃন্দাবনখণ্ড, ৭.১যমুনান্তর্গত কালীয়দমন খণ্ড, ৭.২যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণ খণ্ড, ৭.৩যমুনান্তর্গত হারখণ্ড, ৮.বাণখণ্ড, ৯.বংশীখণ্ড, ১০.রাধাবিরহ।
১৭. যমুনা খণ্ডের নিজস্ব কোনও পদ নেই।
১৮. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে মোট পদের সংখ্যা ৪১৮।
১৯. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে ব্যবহৃত সংস্কৃত শ্লোকের সংখ্যা ১৬১। একটি শ্লোক লিখে কেটে দেওয়া হয়েছে। শ্লোকগুলির পূর্বে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাগ-রাগিণী ও তালাদির উল্লেখ রয়েছে। কিছু কিছু শ্লোক একাধিক বার ব্যবহৃত হয়েছে।
২০. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বড়ু চণ্ডীদাস ভণিতা ২৯৮ বার, চণ্ডীদাস ভণিতা ১০৭ বার, অনন্ত চণ্ডীদাস ৭ বার ব্যবহৃত হয়েছে।
২১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে জন্মখণ্ডে ৯টি, তাম্বুল খণ্ডে ২৬টি, বংশী খণ্ডে ৪১টি ও রাধা বিরহে ৬৯টি পদ আছে।
২২. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে জন্মখণ্ডে ৩টি, তাম্বুল খণ্ডে ৭টি, বংশী খণ্ডে ১৯টি ও রাধা বিরহে ২০টি সংস্কৃত শ্লোক আছে।
২৩. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ১৫টি পদ পাওয়া যায়নি।
২৪. কৃষ্ণের পিতা বসুদেব, মাতা দেবকী।
২৫. রাধার পিতা সাগর, মাতা পদুমা। স্বামী অভিমন্যু, শ্বশুর গোল, শাশুড়ি জটিলা।
২৬. জন্মখণ্ড প্রথম শ্লোক-
পৃথুভারব্যথাং পৃথ্বী কথয়ামানস নিজ্জরান।
ততঃ সরভসং দেবাঃ কংসধ্বংসে মনো দধুঃ।।
(পৃথিবী তার গুরুভারজনিত ব্যথার কথা দেবতাদের জানালেন। তখন দেবতাগণ কংস ধ্বংসের জন্য মনোযোগ দিলেন।)
২৭. জন্মখণ্ড শেষ পদ-
শকতী না কর বড়ায়ি বোলো মো তোহ্মারে। জায়িতেঁ না ফুরে মন নাম শুণী তারে।।
ইত্যাদি
২৮. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুরাণ চরিত্র (জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, বংশীখণ্ড, রাধাবিরহ):
- আইহন: ব্রহ্মাণ্ডপুরান-এ নাম আয়ান, মূল সংস্কৃত অভিমন্যু, জন্মখণ্ড ও অন্যান্য খণ্ড।
- কংস: ভোজবংশীয় মথুরাধিপতি উগ্রসেনের ক্ষেত্রজ পুত্র, জন্মখণ্ড ও অন্যান্য খণ্ড।
- কৃষ্ণ: বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সর্বত্র।
- কেশী: পিতা কুনুর দানব, জন্মখণ্ড।
- গঙ্গা: পবিত্র নদী, রাধাবিরহ।
- দৈবকী: বসুদেবের স্ত্রী। জন্মখণ্ড।
- নন্দ: অষ্টবসুর প্রথম বসু দ্রোণ দেবতাদের অভিশাপে নন্দ রূপে জন্মগ্রহণ, জন্মখণ্ড।
- বসুদেব: যদুবংশে শূরসেনের পুত্র, জন্মখণ্ড।
- নারদ: ব্রহ্মার মানসপুত্র, জন্মখণ্ড।
- পুতনা: বকাসুরের ভগ্নী, জন্মখণ্ড।
- বলভদ্র: দৈবকীর সপ্তম গর্ভের সন্তান, জন্মখণ্ড ও কালীয়দমন খণ্ড।
- ব্রহ্মা: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে দেবতাদের পরামর্শদাতা, জন্মখণ্ড।
- যমলার্জুন: কুবেরের দুই পুত্র নারদের অভিশাপে অর্জুন গাছে পরিণত হয়, শিশু কৃষ্ণ তাদের মুক্তি দেয়, জন্মখণ্ড।
- যশোদা: নন্দর পত্নী, জন্মখণ্ড, কালীয়দমন খণ্ড, হার খণ্ড।
- রাধা: কাব্যের নায়িকা, এই কাব্যে তার অন্য নাম চন্দ্রাবলী, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সর্বত্র।
এছাড়া রাম, রাবণ, লক্ষ্মী, রোহিণী, হনুমানের নাম পাওয়া যায় এই চার খণ্ডে।
Our official facebook
page: https://m.facebook.com/banglanetset
Khub vlo hoea6e
ReplyDeleteThank you.
ReplyDelete